কলেজছাত্র হত্যা মামলায় মানিকগঞ্জে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত বাদশা মিয়া ও লাল মিয়া

ইসলাম টাইমস ডেস্ক : মানিকগঞ্জে চাঞ্চল্যকর কলেজছাত্র মনির হোসেন হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড ও একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও এই মামলায় তিনজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

সোমবার দুপরে মানিকগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ শহীদুল আলম ঝিনুক এই রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন বাদশা মিয়া, লাল মিয়া, আনোয়ার হোসেন ও আজগর চৌধুরী। তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আক্তার হোসেনকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রায়ের সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বাদশা মিয়া ও লাল মিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি সবাই পলাতক রয়েছে।

সরকার পক্ষের পিপি আব্দুস সালাম জানান, মানিকগঞ্জ খান বাহাদুর আওলাদ হোসেন খান কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র মো. মনির হোসেনকে ২০১৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর অপহরণ করা হয়। পরে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চায় অপহরণকারীরা। পরদিন মনির হোসেনের মা মালেকা বেগম বাদি হয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় বাদশা মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। পরে বাদশা মিয়ার স্বীকারোক্তি মতে পুলিশ ১২ সেপ্টেম্বর বংশি নদীর ভাষা শহীদ রফিক সেতুর কাছ থেকে মনিরের লাশ উদ্ধার করে।

নিহত কলেজছাত্র মনির

অপহরণকারীরা মনির হোসেনকে সাভারের নামাবাজার খেয়াঘাটে লাল মিয়ার ট্রলারে করে বংশাই নদীতে নিয়ে যায়। সেখানে হাত, পা, কোমর ও গলা বেঁধে পানিতে ফেলে হত্যা করা হয় তাকে।

এ ঘটনায় ২০১৫ সালের ৫ অক্টোবর মানিকগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে মামলার এক নম্বর আসামি বাদশা মিয়া হত্যার কথা স্বীকার করেন।

নিহতের বাবা পরোশ আলী জানান, এই রায়ে আমি খুশি। আজ ছেলের হত্যার প্রকৃত বিচার পেয়েছি। আর যেন আর কোনো বাবা-মায়ের বুক কেউ খালি করতে না পারে। তাই অতি দ্রুত রায় কার্যকর দেখতে চাই।

আসামিপক্ষের আইনজীবি শিপ্রা সাহা রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, তারা উচ্চ আদালাতে আপিল করবেন।

পূর্ববর্তি সংবাদশারীরিক পরিশ্রম না করা ধূমপানের চেয়েও ক্ষতিকর
পরবর্তি সংবাদমালয়েশিয়ার ইসলামি প্রদেশ কেলান্তান