কানাডার আদালতে মুসলিম নারীরা হিজাব পরতে পারবেন

ইসলাম টাইমস ডেস্ক ।।  

পশ্চিমা বিশ্বের অনান্য দেশের চেয়ে কানাডার নাগরিকগণ অনেক বেশি পরমতসহিষ্ণু এবং অন্য ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। পাশ্চাত্যের অন্যান্য দেশে যখন ইসলাম, মুসলিম, হিজাব নিয়ে নানা ধরনের ইসলামফোবিয়া কাজ করছে তখন কানাডার একটি রাজ্য আদালতে নারীদের হিজাব পরে আসার বাধ্যবাধকতা অরোপ থেকে বিরত থেকেছে।

গত ৪ অক্টোবর কানাডার কুইবেক কাউন্টি কোর্ট অব আপিল একটি রায় দেয় যে- আদালতে আসা কোনো নারী যদি হিজাবধারী হয়, তাহলে বিচারক তার কথা শুনতে না চাওয়া উচিত হবে না। বরং হিজাব পরিধান করা কানাডিয়ান মুসলিম নারীদের নাগরিক ও ধর্মীয় অধিকার।

কুইবেকের সুপ্রিম কোর্ট এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে, নাগরিকরা তাদের ধর্মের দাবি অনুযায়ী যে ধরনের ইচ্ছা পোশাক পরিধান করতে পারবেন। তবে শর্ত হলো, তার ধর্মীয় বিশ্বাস সম্পূর্ণ সঠিক হতে হবে। কারো সঙ্গে সাংবিধানিক দ্বন্দ্বে না জড়ানো পর্যন্ত কানাডিয়ান নাগরিকদের এ সুযোগ থাকবে।

এর আগে ২০১৫ সালে মন্ট্রিলের কানাডিয়ান মুসলিম নারী রানিয়াতুল আলুলকে হিজাব পরার কারণে একটি আদালতের শুনানি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। কুইবেক কোর্টের বিচারক ইলিয়ানা ম্যারেনগো সেসময় আদালতের প্রবিধান অনুযায়ী মুসলিম নারীদের একটি টুপি বা সানগ্লাস পরা ‘যথোপযুক্ত ড্রেস’ বলে আখ্যায়িত করেছিলেন এবং তার এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেছিলেন।

আদালতের আপিলের তিন বিচারক সর্বসম্মতিক্রমে বলেছিলেন যে, তৎকালীন বিচারক ‘প্রভাবশালী এবং পরম নীতির উপর ভিত্তি করে ধর্মীয় অভিব্যক্তি প্রকাশ’ শীর্ষক অধিকারকে বিবেচনা করেননি। ফলে কানাডার মতো ধর্মীয় সস্প্রীতিপূর্ণ ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের নীতি ভুলভাবে কুইবেকের আদালতে বাস্তবায়ন হয়ে গিয়েছিল। তাই আগের রায় উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং এখন থেকে নতুন রায়টি কার‌্যকর হবে।

 

পূর্ববর্তি সংবাদদেয়ালিকা আঁকা থাকে স্বপ্নের রঙে
পরবর্তি সংবাদআকাশে ড্রোন উড়িয়ে নরসিংদীতে চলছে ‘জঙ্গি’ আস্তানা পর্যবেক্ষণ