আড়িয়ল বিলের ছায়ায় আড়িয়ল বিলের মায়ায়

ইয়াহইয়া ইউসুফ নদভী ।।  

এক.
নয় অক্টোবর। দুইহাজার আঠারো। এক মিষ্টি ভোরে বের হলাম আল্লাহর নামে। রাজসড়কে পৌঁছতে না পৌঁছতেই গুলিস্তানগামী প্রায় যাত্রীশূন্য বাসটা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলাম। পাবো কি? না চলে যাবে? চলেই গেলো! অপেক্ষা করতে হলো না, চলে এলো এই মিষ্টি প্রভাতে আরেক সু-প্রভাত। শো শো করে চলে গেলো গোলাপশাহ চত্বরে। বঙ্গবন্ধু স্কোয়ারের দিকে তাকাতেই চোখে পড়লো ব্রাউন ডিমের লাল কুসুমের মতো নতুন সূর্যটা। এই সময়ের সূর্য মিষ্টি। মায়া-ঝরানো আলোয়—হাসি-হাসি। তাকালে চোখ লেগে থাকে। নীরবে বলতে ইচ্ছে করে—
সূর্য, তুমি লাল কেনো?
মিষ্টি আলোয় ভাসছো কেনো?
হাসছো কেনো?
একটু পরে ঝলসে উঠবে?
ছাতিমুখো ধাওয়া দেবে?
আকাশ থেকে আগুন ঝরবে?
এমন থাকলেই হয় না?
মিষ্টি করে কথা বলবে?
পৃথিবীকে সওগাত দেবে?
নতুনের ‘গান’ শোনাবে? ….

সফরসঙ্গী সাখাওয়াত ভাই চলে এলেন। কিশলয় স্বত্বাধিকারী। লেখেনও খুব ভালো। একাধিক শিশুতোষ বই আছে তার। তাকে নিয়ে উঠে গেলাম মাওয়াগামী বসুমতিতে। বসুমতি একটি বাসের নাম। বর্তমানে বাসের যা সুন্দর সুন্দর নাম! জপতে ইচ্ছে করে! সকালের মিষ্টি পরিবেশ দেখতে দেখতে—অল্প সময়েই চলে গেলাম—নিমতলা। নিমতলায় নিম নেই। কোনো এককালে হয়তো ছিলো। ছোট ছোট ঘনপাতার নিচে মানুষ দাঁড়াতো—বাসের অপেক্ষায়। মাঝে মাঝে তাকাতো নিমের উদার-সবুজ ঘন ছাউনিতে। ছায়ার ভেতরে খুঁজতো মায়া। …

এখন আমরা কোথায় যাবো? ডানে না বামে? আমাদের গন্তব্য ডানে। শেখ আবদুল্লাহ কওমি মাদরাসায়। ওখানে অপেক্ষা করছেন রুহুল আমীন ভাই।

হিজল বনের সবুজ ঘ্রাণে

দুই
শেখ আবদুল্লাহ কওমি মাদরাসা সিরাজদিখানের হযরতপুর শেখরনগরে। মক্তব, হিফজ ও কিতাখানা শরহে বেকায়া পর্যন্ত। মাদরাসাটি এক-দেড় বছরে নতুন চেহারায় বিকশিত হয়েছে। বন্ধু রুহুল আমীন কাসেমীর সুপরিকল্পিত ও সুচারু পরিচালনায় এর মাঝেই বেশ নাম করেছে। সুরম্য সাততলা ভবনের দিকে চোখ পড়লে প্রথমে বিশ্বাস হতে চায় না—এই ঘনসবুজ গভীর গ্রামে এমন উঁচু ভবন হতে পারে।
ঠিক সাতটা তিরিশে আমরা মাদরাসা ভবনে প্রবেশ করলাম। উষ্ণ সংবর্ধনায় পুষ্ট হলাম। একটু পরেই বিস্মিত হলাম সকালের নাশতায় ছাগলছানার স্বাদু আয়োজনসহ খাবারের পরিপাটি রকমারিতায়। বসার আগেই চোখ ভরে গেলো। খাওয়ার আগেই ‘পেট’ ভরে গেলো। কথা বলতে বলতে খুব ধীরে ধীরে খাচ্ছিলাম। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো— এই রাজ-আয়োজনেও মেজবান তৃপ্ত নয়! মেজবানেরা বরাবরই অতৃপ্ত থাকে। হাতেমতাঈর যোগ্য উত্তরসুরী তারা। ধন্য তারা। দীর্ঘজীবী হোক তারা।
* * *
নাশতার পর মাদরাসায় পরিচালকের অফিসে চলে গেলাম আমরা। সাজানো গোছানো পরিপাটি অফিস। যেনো কোনো মন্ত্রণালয়ের কক্ষ। ভাঁজে ভাঁজে রুচি। থরে থরে সাজানো ব্যক্তিত্ব।
চললো আলোচনা। বিষয়-বৈচিত্রে সমৃদ্ধ। আন্তরিকতায় সুপুষ্ট। কিন্তু থেকে থেকে উঠে আসছিলো আড়িয়ল বিল! আমরা কখন বের হচ্ছি? আর কতো দেরি! …

চারদিকে ঝলমলে রোদ্দুর

তিন
রোদ ছিলো গনগনে—তেজালো। আমরা বিকেলের অপেক্ষা করতে লাগলাম। অস্থির অপেক্ষা। রোদ যেনো আমাদের বাধা। একটু পর রোদ নিভে গেলো। শুধু কি নিভে গেলো? টাপুর-টুপুর বৃষ্টিও নামলো! আমি আবার তোড়জোড় শুরু করলাম। এখনই সময়। বেরিয়ে পড়ি। ছাতা নেবো। একটু একটু ভিজবো। রোদ উঠলে মাথায় দেবো। ব্যস, একটু পর মাদরাসা ভবনের কোলঘেঁষে বয়ে-চলা ইছামতি নদী থেকে ভাড়া করা হলো একটি সুন্দর উপযোগী ট্রলার—ইঞ্জিনের নৌকো। তিনটি ছাতা নিয়ে উঠে বসলাম আমরা তিনজন। ইঞ্জিন চালু করার পর মনটা একটু খারাপ হয়ে গেলো। এই ভটভট আওয়াজে কথা বলবো কেমনে?

চার
আড়িয়ল বিল দেখার ইচ্ছা অনেক দিনের। এর নাম—বইয়ে পড়েছি। এর গল্প—সংবাদপত্রে পড়েছি। পড়েছি এর অধিবাসীদের সংগ্রামের কথাও। বিমানবন্দর রুখে দেওয়ার সেই রক্তপিচ্ছিল প্রতিরোধের গল্পও পড়েছি। সে ইতিহাস এখানে আলোচ্য নয়। টানবো না। সফরের মজা নষ্ট হয়ে যাবে।
ইছমতি ছোট্ট নদী। পানি কেটে কেটে আমাদের ট্রলার এগিয়ে চলেছে আড়িয়ল বিলের দিকে। ৪৫ মিনিটেই আশা করি পৌঁছে যাবো।
এখন আকাশে মেঘ আছে, বৃষ্টি নেই। মেঘের আড়ালে সূর্য বিশ্রাম নিচ্ছে। মাঝে মাঝে আমাদের দিকে তাকিয়ে হাসছে। একটু আগের গনগনে তেজালো পরিবেশে নেমে এসেছে মেঘচ্ছায়া। মায়া-মায়া ছায়া। গ্রামবাংলার এই রূপসী ছায়া এবং প্রকৃতির এই রূপবদল— কোথায় পাবে তুমি? এই বৃষ্টি এই রোদ। যেনো সুখী পরিবারের দুই ভাইবোন। একজন আরেকজনকে খোঁজে। খুনসুটিতে মেতে ওঠে।

ইঞ্জিন থেকে একটু দূরে গোলইয়ের কাছে আমরা একটা চাদর বিছিয়ে বসে আছি তিনজন। কথা বলছি। বিস্ময় প্রকাশ করছি। সবুজের রূপ দেখে বিমোহিত হচ্ছি। মুখের আগে চোখ কথা বলছে। প্রভাবিত হচ্ছে অন্তর। চিন্তা ও আবেগের বন্দর। সুবহানাল্লাহ!
ইছামতির দুই পাশে গ্রাম। ঘরবাড়ি বলতে গেলে দেখাই যায় না। শুধু গাছগাছালি। মাঝে মাঝে বিক্রমপুরের ঐতিহ্যিক টিনের ঘর। স্থানান্তর যোগ্য। সবকিছুর সাথে খুলে খুলে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন—রুহুল আমীন ভাই। হঠাৎ এলো কাশ্মির। শ্রীনগর। ডাল লেক। পাহাড়। ঝরনা। আরও অনেক রূপের কথা। দুনিয়ার জান্নাতের রূপের তো আর অভাব নেই!

থই থই পানিতে ছুটে চলা অবিরাম

পাঁচ
আড়িয়ল বিল স্বচ্ছ পানিতে থৈ থৈ করছে। আমরা ভেতরে প্রবেশ করেছি। এগিয়ে যাচ্ছি গভীরে। হাতে আছে কালিভরা কলম। সামনে আছে সাদা কাগজ! হৃদয়ে আছে রূপ-রূপান্তরের আবহে মোড়ানো আবেগ। কিন্তু নেই-যে শব্দ! কী লিখবো শব্দ ছাড়া!
ওহে প্রিয় শব্দরা, ওঠো! ঘুম ভেঙে কাছে এসো! কিছু তো লিখতে হবে! কিছু তো বলতে হবে! শুরু যখন করেছো অভিযান, শেষ করতে হবে না?!

কী আছে আড়িয়ল বিলে? অ নে ক কিছু!
আড়িয়ল বিলে সবুজ আছে। থরে থরে সাজানে। দূরের সবুজ। কাছের সবুজ। নলক্ষেতের সবুজ। কচুরিপানার সবুজ। হিজল বনের সবুজ। এই মুহূর্তে লাগানো মিষ্টি কুমড়ার লতানো সবুজ।
সবুজের ভেতরে পানি। পানির ভেতরে সবুজ। অর্থাৎ এই পানি এই সবুজ। পানি শুকিয়ে যেতে শুরু করেছে। জেগে উঠছে ছোট-বড় অসংখ্য চর। এদিকে-ওদিকে এঁকেবেঁকে চলে গেছে কতো নদী সরোবর! একটুখানি চর। চরের বুকে তরিতরকারির চারা গাছ। চরে ভেড়ানো আছে ছোট ছোট ডিঙি। ডিঙির উপরে ক্লান্ত মাঝির নাকডাকা গভীর ঘুম।
এই সবুজে সবুজে ছাওয়া এবং পানিতে পানিতে টলোটলো আড়িয়ল বিলের পরিধি কতো? অনেক! একশো ছত্রিশ বর্গকিলোমিটার! এই বিশাল একাকা জুড়েই বাস করে সবুজ আর পানি। চর আর জলাশয়। খাল আর তালাব। জলাশয় ও তালাব নাকি শত শত। ব্যক্তি মালিকানাধীন অনেক তালাবও আছে এখানে।
আর কী আছে আড়িয়ল বিলে?
আরও অনেক কিছু! এখানে ৩২ প্রজাতির পাখি আছে। সাদা বক। চিল। ঈগল। আরও আরও অনেক। জ্যৈষ্ঠ মাসে শুরু হয় মাছ ধরার মহোৎসব। গড়ে প্রতিদিন বিক্রি হয় কেটি টাকার মাছ। এই অবস্থা চলে ছয় মাস ধরে। পানি শুকিয়ে গেলে কৃষক মেতে ওঠে রবিশস্য চাষে। তরিতরকারি চাষে। এখানে মিষ্টি কুমড়ার যে-বাম্পার ফলন হয়, সারা বাংলাদেশের আর কোথাও তার নজির নেই। একেকটি মিষ্টি কুমড়া এতোটাই বড় হয় যে, মণ ছাড়িয়ে যায়।
ধান? বছরে এখানে ধানই উৎপাদন হয় চল্লিশ মেট্রিক টন!
মাছ? কতো প্রকার মাছ আছে এখানে? দেশি মাছের এক বিপুল সমাহার। অপূর্ব বৈচিত্র। কই মাছ নাকি অনেক বড় বড় হয়। একেকটি অনেক টাকায় বিক্রি হয়। শিঙ ও পাবদাও এখানে আকর্ষণীয়। বোয়াল থেকে শুরু করে আরও নানান রকমের মাছ জেলেদের মুখে হাসি ফোটায়। মানুষের খাবারে স্বাদ ঢেলে দেয়। নির্ভেজাল মাছের ঘ্রাণে মৌ মৌ করে প্রতিটি পাত।

ছয়
ভ্যাশাল দিয়ে মাছ ধরার প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায় বেলা একটু পড়তেই। ভ্যাশাল টানানো জায়গায় জায়গায়। কেউ এসে পাততে শুরু করেছে, কেউ এখনো আসে নি। ছোট ছোট ডিঙি নিয়ে এর মাঝেই এসে পড়েছেে অনেকে। এরা মাছ ধরবে। কেউ কেউ রাতভর। কেউ কেউ মাছ ধরে সন্ধ্যায় ফিরে যাবে। কেউ আবার পানিতে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কচুরিপানা দিয়ে বেড়া দিচ্ছে। স্তূপ করে রাখছে। একটুখানি জায়গা ফাঁকা থাকবে। আধার ছেড়ে দেওয়া হবে। মাছ এসে ভিড় করবে। অনেক মাছ। একসময় মাছে মাছে ছোট্ট জলাশয়টা ভরে উঠবে। অমনি ওই ফাঁকা জায়গাটা বন্ধ করে দেওয়া হবে। থেকে যাবে মাছ। আস্তে আস্তে ধরা হবে আর বিক্রি করা হবে। এমন ছোট ছোট ডেঙা বা জলাশয় লিজ নিতে হয় এক মওসুমের জন্যে।
এক জেলে বন্ধুর সাথে কথা বললাম। তিনি জানালেন যে, লিজ নিতে টাকা দিতে হয় অনেক। পঞ্চাশ হাজার। ষাট হাজার। আমি বললাম, পোষায় তো! হাসি দিয়ে বললেন, পোষাবে না! লাভও তো হয় অনেক! আহা, তার হাসিটি কী অমায়িক নির্মল! হালাল রুজির আভায় ভাস্বর!

নদীর সাথে আছে নদীর গভীর পরিচয়

সাত
একটা চরে মাঝি নৌকো ভেড়ালো। উঠলাম। হেঁটে হেঁটে মাঝখানে গেলাম। রুহুল আমীন ভাই সাবধান করলেন। সাপকোপ থাকতে পারে, সাবধান! আমরা সাবধান হয়ে গেলাম। আড়িয়ল বিলে অনেক প্রজাতির সাপের বসবাস। শুকনোয় ফিরে আসে। বর্ষায় এখানে ওখানে ছড়িয়ে পড়ে।
চরে কচুরিপানা লম্বা করে রাখা। ভূমি থেকে সামান্য উঁচু। এর ভেতরেই লাগানো হয়েছে মিষ্টি কুমড়ার চারা। কয়েকদিন পরে ভরে যাবে এই চর—মিষ্টি কুমড়ায়। কথিত আছে, এক বুযুর্গ আড়িয়ল বিলে এসে দুআ করেছিলেন এই মিষ্টি কুমড়ার জন্যে। তাই এখানে মিষ্টি কুমড়ার এই বিস্ময়কর বাম্পার ফলন।
আমরা চর থেকে নেমে এলাম। নৌকোয় উঠে বসলাম। মাঝিকে বললাম, ওই নারিকেলবীথি পর্যন্ত যাওয়া যাবে? মাঝি ‘না’ করে বললো, খালের মুখ বন্ধ ওই দিকে। কদিন আগে এলে যেতে পারতেন।

আট
বিশাল আড়িয়ল বিলের সামান্যই আমরা দেখলাম। হঠাৎ কথা উঠলো মাছ ধরা নিয়ে। হারানো শৈশব যেনো ফিরে এলো। একজন প্রস্তাব দিলেন, কদিন পর ছোট্ট ডিঙি নিজেরাই বাইতে বাইতে চলে আসবো! নিজের হাতে মাছ ধরবো! মজাই হবে, ভারি মজা! সে লগ্ন কি আসবে? জানি না!

নয়
বেলা অনেক গড়িয়ে গেছে এর মাঝেই। এবার যেতে হবে। ফিরতে হবে। আমি মাথা নুইয়ে নোট করছিলাম। এক বন্ধু আমাকে ভিজিয়ে দিলেন। ফোঁটা ফোঁটা হাত-বৃষ্টি! ভেতরটা আনন্দে শিহরিত হলো! আহা, আড়িয়লের পানি কী আরাম-শীতল!
আমরা নীড়মুখী হলাম। আড়িয়ল বিলের দূর দিগন্তে বারবার তাকাতে লাগলাম। কখনো বসে। কখনো দাঁড়িয়ে। বিদায়ের আমেজ এসে মনে ভর করলো। চোখেও প্রভাব ফেললো। অনেক আগে বলছিলাম একটি লেখায়—
‘ভাবছি, আড়িয়ল বিল যাবো একদিন। সবুজের সাথে ওখানেও হবে আলাপ। নীরবে। সরবে। চোখে চোখে। ফিরে আসার সময় ওই বিলের অসীম পানিতে রেখে আসবো আমার চোখের এক ফোঁটা জল! বিরহের, কিংবা ভালোবাসার!’
এখন সে সময় কি আসন্ন?!

দশ
জানি না এ-বিল এভাবে আর কতো দিন থাকবে। পড়বে না তো কারো শ্যানদৃষ্টি?
ভালো থেকো হে আড়িয়ল বিল!
ভালো থেকো আড়িয়ল বিলের কাছের মানুষেরা!
***
আজাদের ভাষায়—
ভালো থেকো লাউ, কুমড়োর হাসি।
ভালো থেকো আম, ছায়া ঢাকা গ্রাম, ভালো থেকো।
ভালো থেকো ঘাস, ভোরের বাতাস, ভালো থেকো।
ভালো থেকো রোদ, মাঘের কোকিল,
ভালো থেকো বক, আড়িয়ল বিল,
ভালো থেকো নাও, মধুমতি গাও,ভালো থেকো।
ভালো থেকো মেলা, লাল ছেলেবেলা, ভালো থেকো।
ভালো থেকো, ভালো থেকো, ভালো থেকো।

পূর্ববর্তি সংবাদপদ্মা সেতু রেলসংযোগের কাজ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
পরবর্তি সংবাদচান্দুর নেহারি : মিরপুরের ভোজনরসিকদের রসনাবিলাস