এখনও ভারত-পাকিস্তানের বড় বড় মাদরাসাগুলোয় বাঙালিরা বেশি অগ্রসর -মুফতি হিফযুর রহমান

একজন লেখকের সবচেয়ে বড় সম্পদ তার পাঠাভ্যাস অবিরাম পাঠই একজন লেখক তার লেখাকে ফুলফলে সমৃদ্ধ করে বাড়ায় শোভা গ্রহণযোগ্যতা এনে দেয় বোদ্ধামহলের আস্থা ভালোবাসা বিশেষত লেখক যখন আলেম হন এবং ইসলামের কথা লেখেন তখন তার গভীর পাঠ অধ্যয়নের দায় বেড়ে যায় বহুগুণ কারণ, কলমের আঁচড়েই নির্ণিত হয় জান্নাতজাহান্নামের পথনির্দেশ লেখক আলেম-লেখকের পাঠাভ্যাস, ব্যক্তিজীবনে পাঠ নানান স্মৃতি নিয়ে কথা বলেছেন দেশেরবরেণ্য আলেমলেখক জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়ার ইফতা বিভাগের প্রধান মুফতি হিফযুর রহমান কথোপকথনে তার সঙ্গে ছিলেন ইসলাম টাইমসের বার্তা সম্পাদক আতাউর রহমান খসরু


 

ইসলাম টাইমস : একজন লেখকের জন্য পাঠাভ্যাস কতোটা গুরুত্বপূর্ণ?

মুফতি হিফজুর রহমান : একজন লেখককে আস্থা অর্জন করার জন্য, তার লেখাগুলো তথ্যবহুল গ্রহণযোগ্য হওয়ার জন্য প্রচুর পরিমাণে পড়ার কোনো বিকল্প নেই। আমার শিক্ষক পাকিস্তানের শীর্ষ আলেম লেখক মুফতি আবদুর রশীদ নোমানি রহ. আমাদের বলতেন প্রতিদিন পাঁচশো পৃষ্ঠা পড়তে আমরা বলতাম, সেটা কিভাবে সম্ভব? তিনি বলতেন, প্রতিদিন পড়ার গতি বাড়াতে থাকো এক সময় দেখবে সম্ভব

আমরা দেখেছি, বৃদ্ধ বয়সেও তিনি ফজরের পর থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত পড়তেন ছাত্রদের দ্বারা বিভিন্ন বিষয় বিভিন্ন থেকে বের করাতেন আসলে ব্যক্তিগত জীবনে পড়ার অভ্যাস না থাকলে লেখক কখনো এগিয়ে যেতে পারবে না

ইসলাম টাইমস : পাঠ্যপুস্তকের বাইরে আপনার পড়া প্রথম বই কোনটি?

মুফতি হিফজুর রহমান : ঠিক কোন বইটি পড়েছি তা মনে নেই তবে পাঠ্যপুস্তকের বাইরে আমি কখনো কখনো বাংলা ভাষায় রচিত ইতিহাস জীবনীগ্রন্থ পড়েছি গল্পউপন্যাস পড়ার অভ্যাস কখনো ছিলো না পত্রিকাও পড়া হয় নি উস্তাদরা এসব পড়তে নিষেধ করতেন কারণ, পাঠ্যপুস্তকগুলো ভালোভাবে পড়লে পরবর্তী জীবনে অন্য যে কোনো ক্ষেত্রে নিরাপদভাবে বিচরণ করতে পারবে আর যারা ছাত্রজীবনে গল্পউপন্যাসে মত্ত হয়ে যায় তারা দুর্বল আলেম হয় ইলমের ময়দান থেকে ছিটকে পড়ে

ইসলাম টাইমস : আপনার পাঠাভ্যাস গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা কারা?

মুফতি হিফজুর রহমান : আমি যখন মেখলে জামাতে পড়ি তখন মুফতি আজম মুফতি ফয়জুল্লাহ রহ. কে কাছ থেকে দেখেছি তখন তার বয়স ৮৬ বছর তার নাতি মাওলানা হুসাইন আহমদ তাকে কোলে করে কাছারি ঘরে নিয়ে আসতেন। তিনি সেখানে প্রতিদিন দুই-তিন ঘণ্টা পড়তেন। এই বয়সেও তিনি রুটিন করে পড়তেন। যখন তিনি মৃত্যু শয্যায় শায়িত তখন ডাক্তাররা তাকে পড়ালেখা ছেড়ে দেয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু বলেন, আমি যদি না পড়ি আমি আরও অসুস্থ্য হয়ে পড়বো।তিনি ছিলেন পাঠাভ্যাসের ক্ষেত্রে আমার প্রথম অনুপ্রেরণা।

হাটহাজারি মাদরাসায় যখন পড়ি শায়খুল ইসলাম আল্লামা আহমদ শফি দা. বা. কে দেখতাম, মধ্যরাতে তার রুমে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পড়তেন যেনো ঘুম না আসে। এছাড়াও বড়ুরা মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা কুরবান আলী, পাকিস্তানের মুফতি আবদুর রশিদ নোমানি, ড. হাবিবুল্লাহ মোখতার প্রমুখ মনীষীগণ আমাকে দারুনভাবে অনুপ্রাণিত করেছেন।

ইসলাম টাইমস : কোন ধরনের কিতাব পড়তে আপনি পছন্দ করতেন?

মুফতি হিফজুর রহমান : ছাত্র জীবনে আমি দরসের কিতাবগুলো পড়তেই বেশি পছন্দ করতাম বিশেষত দরসের কঠিন কঠিন কিতাবগুলোর প্রতি আমার বিশেষ আগ্রহ ছিলো সহজ কিতাবগুলো আমাকে টানতো না

ইসলাম টাইমস : বিষয় হিসেবে কোন বিষয়ে পড়তে আপনি পছন্দ করেন?

মুফতি হিফজুর রহমান : একক বিষয় হিসেবে আমি মানতিকের কিতাব সবচেয়ে বেশি পড়েছি হেদায়াতুন্নাহুর বছর সুগরা, আওসাত, কুবরা মিজানুল মানতিক পড়ি এরপর মিরকাত, শরহে তাহজিব, কুতবি, সুল্লাম, মোল্লা হাসান, কাজি মোবারক, হামদুল্লাহ মোল্লা জালাল ইত্যাদি কিতাব পড়েছি এতো কিতাব এখন আর পড়ানো হয় না

আমি মানতিকের কিতাব পড়ে আলাদা স্বাদ পেতাম এখন বিষয়টি মৃতপ্রায় চট্টগ্রাম অঞ্চলের কোনো মাদরাসায় কিছুটা পড়ানো হয় ঢাকা ইতোমধ্যে তার বিদায় হয়েছে। এরপর হাদিস ফিকহের সঙ্গে আমার সম্পর্ক রয়েছে শিক্ষকতার জীবনের শুরু থেকে ফিকহের কোনো না কোনো কিতাব পড়াচ্ছি বিশেষত হেদায়া সালেস (৩য় খণ্ড) দীর্ঘদিন যাবত পড়াই

ইসলাম টাইমস : কুরআন সুন্নাহর পর যেসব কিতাব দ্বারা আপনি সব চেয়ে বেশি উপকৃত হয়েছেন?

মুফতি হিফজুর রহমান : আমার ভালো লাগা কিতাবগুলোর শীর্ষে রয়েছে আল্লামা ইবনে হুমাম রহ. রচিত হেদায়াএর ব্যাখ্যাগ্রন্থ ফাতহুল কাদির হেদায়ার কোনো বিষয় আমার কাছে অস্পষ্ট মনে হলে আমি অত্যন্ত মনোযোগের সাথে কিতাব অধ্যয়ন করি আমি প্রায় প্রায় কিতাব অধ্যয়ন করি

আল্লামা বদরুদ্দিন আইনি রচিত আল বিনায়া এটি ফাতহুল কাদিরের চেয়ে দীর্ঘ কিতাব এখানে মাসায়েলগুলো তাহকিকের সাথে পাওয়া যায় আমি বেশ উপকৃত হয়েছি এর বাইরে ফতোয়ায়ে শামি মুকাদ্দামায়ে শামির কথা উল্লেখ করা যেতে পারে

ইসলাম টাইমস : বাংলা ভাষায় রচিত কোনো বই কি আপনার ভালো লেগেছে?

মুফতি হিফজুর রহমান : আমাদের ছাত্রজীবনে বাংলা ভাষায় আলেমউলামাদের রচিত উল্লেখযোগ্য কোনো বই ছিলো না আমাদের সময়ে হজরত শামসুল হক ফরিদপুরী রহ. এর বইগুলো ছিলো বাংলাভাষী আলেমদের পাথেয়

আমি ছাত্রজীবনে মাওলানা মুহিউদ্দীন খান রহ. এর বইগুলো পড়েছি মাসিক মদীনাও নিয়মিত পড়তাম খান সাহেবের নিজের লেখা সম্পাদকীয়গুলো আমার ভালো লাগতো মাওলানা আবুল কালাম আজাদের অনূদিত রচনাবলী দ্বারাও উপকৃত হয়েছি

ইসলাম টাইমস : ছাত্রজীবনে আপনার লেখাপড়ার গল্প এখনও হাটহাজারী মাদরাসায় শোনা যায় কর্মজীবনে এসে কতোটুকু পড়তে পারছেন?

মুফতি হিফজুর রহমান : আলহামদুলিল্লাহ! আপনাদের দোয়া আমি এখনও পড়ালেখার ধারা অব্যাহত রাখতে পেরেছি সকাল থেকে জোহর পর্যন্ত আমার ক্লাস থাকে এছাড়া বাকি সময়টুকু আমি পড়া বা লেখায় অতিবাহিত করি দুই ক্লাসের মাঝে আধা ঘণ্টা সময় পেলেও আমি তা কাজে লাগানোর (পড়ার) চেষ্টা করি

ইসলাম টাইমস : পাঠাভ্যাসের ক্ষেত্রে ভারতপাকিস্তানের আলেমদের তুলনায় বাংলাদেশি আলেমদের অবস্থান কোথায়?

মুফতি হিফজুর রহমান : ছাত্রজীবনে বাঙালি ছাত্ররাই বেশি কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখে এখনও ভারতপাকিস্তানের বড় বড় মাদরাসাগুলোয় বাঙালিরা বেশি অগ্রসর কিন্তু কর্মজীবনে এসে কেমন যেনো এদের ধার কমে যায় বিপরীতে ভারতপাকিস্তানের আলেমদের মূল লেখাপড়াই যেনো শুরু হয় এক পর্যায়ে দেখা যায়, ক্লাসে দুর্বল ভারতীয় আলেম পরবর্তী জীবনে যে শরাহ (ব্যাখ্যাগ্রন্থ) লেখেন, ক্লাস উজ্জ্বল বাঙালি আলেম তা অধ্যয়ন করে ছাত্রদের পড়ান এটা হয় বাঙালি আলেমদের পাঠাভ্যাস না থাকার কারণে

ইসলাম টাইমস : ভারতবর্ষ পাকিস্তানের আলেমদের তুলনায় বাংলাদেশের আলেমদের পাঠাভ্যাস তুলনামূলক কম কেনো? অনেকে ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক কারণ উল্লেখ করেন

মুফতি হিফজুর রহমান : ঠিক কি কারণে পড়ার অভ্যাস কম আমি বলতে পারছি না হয়তো আমরা পড়ার ঐতিহ্যই গড়ে তুলতে পারি নি তবে অর্থনৈতিক কারণ অবশ্যই মূখ্য না কারণ, আমাদের আকাবির (শীর্ষ) আলেমদের আর্থিক অবস্থা খুব ভালো ছিলো না তবুও তারা পড়তেন এবং লেখালেখির কাজ করতেন

যেমন হজরত মাদানি রহ. দেওবন্দ থেকে দুটি রুটি পেতেন একটি খেতেন অন্যটি বিক্রি করে টাকা জমিয়ে কিতাব কিনতেন হজরত আনওয়ার শাহ কাশ্মিরি রহ. এর ঘরে যখন তার স্ত্রী আসেন তখন একটি মাটির প্লেট পাত্র ছাড়া আর কিছু ছিলো না

তবে এটা সত্য বাঙালি আলেমদের পরিমাণ কম হলেও তাদের মাধ্যমে দীনী শিক্ষার প্রসার অনেক বেশি হয়েছে আমাদের দেশের আলেমরা যেভাবে গ্রামেগঞ্জে মাদরাসা মসজিদ গড়ে তুলেছেন, সাধারণ মানুষের মাঝে দীনী শিক্ষার প্রসারে তাদের অবদান অতুলনীয়

ইসলাম টাইমস : তরুণ প্রজন্মের প্রতি আপনি কতোটা আশাবাদী বিশেষত যাদের পাঠাভ্যাস দিনদিন কমছে

মুফতি হিফজুর রহমান : লেখালেখির ক্ষেত্রে আমি তরুণপ্রজন্মের প্রতি আশাবাদী আমাদের সময়ে হজরত শামসুল হক ফরিদপুরী রহ. হজরত মুফতি ফয়জুল্লাহ রহ. ছিলেন উল্লেখযোগ্য লেখক তাদের একজন লিখতেন বাংলায় অপরজন আরবিফার্সিউর্দুতে গত পনেরবিশ এখন বিপুল সংখ্যক তরুণ লিখছেন এবং তাদের বাংলা আরবির মান আলহামদুলিল্লাহ! অনেক ভালো দেখে মনে হয়, আরবের কোনো শায়খের লেখা কিতাব ভিন্ন ধারার লোকদের চেয়ে এদের লেখনির পরিমাণ কোনো অংশে কম না

পাঠাভ্যাস কমার যে কথা বললেন, তা সাধারণের কথা বিশেষ শ্রেণিতে তা বেড়েছেও বলা যায় আগে আমাদের দেশে যে পরিমাণ বিদেশি কিতাব আসতো এখন তার চেয়ে অনেক বেশি আসে এখন এগুলো কেউ না কেউ তো পড়ছে

ইসলাম টাইমস : কেউ যদি ভালো আলেম লেখক হতে চায় তবে তার প্রতি আপনার কি পরামর্শ থাকবে?

মুফতি হিফজুর রহমান : ভালো আলেম লেখক হওয়ার প্রথম শর্ত নিসাবভূক্ত (সিলেবাসভূক্ত) কিতাবগুলো ভালোভাবে পড়তে হবে দীর্ঘ নিসাবে পড়তে হবে নিসাব সংক্ষিপ্ত করলে যোগ্যতাও সংক্ষিপ্ত হয়ে যাবে শিক্ষকগণ যেভাবে পড়তে বলেন, সেভাবে মেহনত করে পড়তে হবে এতে তার মূলধন অর্জিত হবে এরপর সে চেষ্টা করলে ভালো লেখকও হতে পারবে আমি মনে করি, লেখাপড়ার মাধ্যম হিসেবেও আরবি বাংলা চর্চায় মনোযোগী হলে, মাদরাসায় আরবি বাংলা সাহিত্য চর্চার যেসব আয়োজন রয়েছে তাতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করলে লেখালেখি শিখতে পারবে যেমন, দেয়ালিকা, বক্তৃতা রচনা প্রতিযোগিতা ইত্যাদির আয়োজন করা

ইসলাম টাইমস : লেখাপড়া শেষ করার পর লেখাপড়ার ধারা কিভাবে অব্যাহত রাখা যায়?

মুফতি হিফজুর রহমান : লেখাপড়া শেষে অধিকাংশ যোগ্য ছেলে মাদরাসায় শিক্ষকতা করে এতে প্রথম কয়েক বছর বেশি বেশি মুতাআলা (পূর্বপাঠ) প্রয়োজন হয় কিছুদিন যাওয়ার পর প্রয়োজনটা কমে আসে তখন সে যেসব কিতাব পড়া হয় নি অথচ পড়া দরকার সেগুলো গুরুত্ব বিবেচনা করে একে একে পড়ে শেষ করবে সাথে সাথে লেখালেখিটাও এগিয়ে নেবে পরীক্ষা রমজানের ছুটিগুলোকে কাজে লাগাতে হবে আর এগুলো করতে হবে একজন অভিভাবকের অধীনে

ইসলাম টাইমস : পড়ালেখা লেখালেখির ক্ষেত্রে অভিভাবক কেনো প্রয়োজন?

মুফতি হিফজুর রহমান : ছাত্রজীবনে অভিভাবক বা মুরব্বির প্রয়োজন অনেক বেশি শিক্ষকতার জীবনেও তার প্রয়োজন ফুরিয়ে যায় না মুরব্বি ছাড়া কোনো কাজ সুন্দর বরকতময় হয় না বিশেষত যখন একজন আলেম লেখক নবীন হন তখন কি লিখবে আর কি লিখবে না; কি পড়বে আর কি পড়বে না তা নির্ধারণের জন্য মুরব্বি অনেক বেশি প্রয়োজন নাহলে তার পথ হারানোর ভয় থাকে

ইসলাম টাইমস : আপনার এই দীর্ঘ পাঠ লেখালেখি কোনো মুরুব্বির অধীনে হয়েছে? নাকি নিজেকে নিজেই পথনির্দেশ করেছেন?

মুফতি হিফজুর রহমান : পড়ালেখার ক্ষেত্রে আমার মুরুব্বি ছিলো মেখলে আমার মুরুব্বি একান্ত ছিলেন মাদরাসার বর্তমান মোহতামিম হজরত মাওলানা নোমান দা. বা. হাটহাজারীর শুরু থেকে মাওলানা শেখ আহমদ, মাওলানা কাসেম রহ. আমার মুরব্বি ছিলেন আমি আমার সার্বিক বিষয়ে উনাদের সাথে পরামর্শ করলাম একটু উপরের দিকে উঠলে শায়খুল ইসলাম আল্লামা আহমদ শফি দা.বা. আমার অভিভাবক ছিলেন

পাকিস্তানে আমি মুফতি আবদুর রশিদ নোমানি মাওলানা আবদুস সালাম চাটগামির সার্বিক তত্ত্বাবধানে আমি লেখাপড়া সম্পন্ন হয় কোন কিতাব পড়বো আর কোন কিতাব পড়বো না, কোন কিতাব কখন পড়বো তারাই নির্ধারণ করে দিতেন

ইসলাম টাইমস : একজন লেখক আলেমের মুরব্বি কেমন হতে হবে?

মুফতি হিফজুর রহমান : লেখক আলেমের মুরব্বি লেখক আলেম হওয়াই ভালো তবে মুরব্বি হওয়ার জন্য বড় লেখক হওয়া শর্ত না বরং মুখলিস আলেম হওয়া শর্ত তিনি শতভাগ আন্তরিকতা নিয়ে তাকে পথনির্দেশ করতে পারেন

পূর্ববর্তি সংবাদকাশ্মিরের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সর্বনিম্ন ভোটের রেকর্ড
পরবর্তি সংবাদমেঘনায় জাল ও ট্রলার জব্দ